ঢাকার বাইরে এফ-কমার্সকে জনপ্রিয় করার তাগিদ

কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরুর সুযোগ করে দিচ্ছে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ বাজারে উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন অনেক শিক্ষার্থী এবং নারীরা। তারা বলছেন, পণ্য ডেলিভারির খরচ কমানো গেলে ব্যবসা আরও বাড়বে। এ খাতের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত এক বছরে দেশে এফ কমার্স উদ্যোক্তার সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। তাদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ। দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা প্রসারের সঙ্গে বাড়তে থাকবে এ সংখ্যা। তাই ভার্চুয়াল বাজারের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে অনেকেই ফেসবুক পেজ খুলে ব্যবসা শুরু করছেন। বিক্রি করছেন পোশাক, উপহার সামগ্রী, কসমেটিকস ও জুয়েলারিসহ নানা পণ্য। শিক্ষার্থীদেরও কেউ কেউ নিজের খরচ চালাচ্ছেন এফ কমার্স থেকে।

একজন উদ্যোক্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় আমি এফ-কমার্স চালু করি এবং দেশীয় পণ্য নিয়ে এখনও কাজ করছি। নিজের খরচ মেটানোর পর পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারছি।

আরেকজনের অভিজ্ঞতা, এই ব্যবসায় অনেক সম্ভাবনা আছে। এখানে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়। অন্য ব্যবসা করতে গেলে অনেক পুঁজির প্রয়োজন হয়।

রাজধানীর বাইরে থেকেও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য নিয়ে এফ কমার্স চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।

আফরোজা চৈতী নামে একজন উদ্যোক্তা জানান, মাত্র ৪ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন প্রতিমাসে তার টার্নওভার হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। তবে, তিনি শুধু ঢাকায় হোম ডেলিভারি দিতে পারছেন। অন্য জেলায় হোম ডেলিভারি দিতে গেলে যে পরিমাণ খরচ পড়বে তা দিয়ে ঢাকার বাইরে এই মুহূর্তে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করা সম্ভব না।

জাতীয় এফ কমার্স সামিটের অন্যতম আয়োজক প্রতিষ্ঠান গিকি স্যোশাল বলছে, দেশে বর্তমানে এফ কমার্স পেজের সংখ্যা ৬ লাখ। এসব উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা চালাতে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে মনে করেন অনলাইন বাজার বিশ্লেষকরা।

এ প্রসঙ্গে গিকি সোস্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদি হাসান সাগর জানান, এফ-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংখ্যাটা আসলে প্রতি বছরই দ্বিগুণ হচ্ছে। ঢাকার বাইরে যদি এই ব্যবসাটা বা কনসেপ্টটাকে জনপ্রিয় করা যায় তাহলে সেখান থেকে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব। এতে বড় রকমের একটা কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

অনলাইন মাধ্যমের সব ধরনের ব্যবসায় প্রতারণার ঘটনা কমাতে সরকারি সংস্থার তদারকির ওপরও জোর দেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন